Pigeons Observance

[ কবুতর পালন ] কবুতর পালন ব্যবস্থাপনা | Pigeon keeping management

kobutor palon

কবুতর পালন ব্যবস্থাপনা | Pigeon keeping management

কবুতর পালনঃ  ইতিহাস থেকে জানা যায় যে মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই কবুতর পালন করে আসছে। সেই সময় লোকেরা দেবদেবীদের সন্তুষ্ট করতে কবুতর বলি দিতেন। কবুতরগুলি সংবাদ প্রচার, বিনোদন এবং সুস্বাদু মাংসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত হত। বর্তমানে কবুতর আমাদের দেশে মূলত মাংস এবং বিনোদনের জন্য রাখা হয়।

কবুতর পালনের প্রয়োজনীয়তাঃ

কবুতর পালন এখন কেবল শখ এবং বিনোদন নয় বরং এটি এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হয়। কবুতরের ঘর এবং পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি, স্বল্প ব্যয় এবং সামান্য ঝামেলা সহ এটি লালন করা যায়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং টনিক হিসাবে রোগ থেকে মুক্ত এমন ব্যক্তির পক্ষে খুব দরকারী। রোগীদের ডায়েট হিসাবে কবুতরের মাংস ব্যবহার করার রীতি রয়েছে। আমাদের দেশের অনেকে বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন করছে।

কবুতর পালনের অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ

বাংলাদেশে কবুতর সাধারণত মাংস উৎপাদনের জন্য লালিত করা হয়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং রোগীর ডায়েট হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
kobutor palon
  • ন্যূনতম ব্যয় সম্মতিঃ

স্বল্প মূলধন, স্বল্প ব্যয় এবং সীমিত জায়গার সাথে কবুতর খুব সহজেই লালন করা যায়।হাঁস-মুরগির তুলনায় কবুতর পালন মোটেও ব্যয়বহুল নয়।
  • একটি কবুতর ঘর তৈরি করতে সর্বনিম্ন ব্যয়ঃ

পারিবারিক ভাবে কবুতর গ্রামাঞ্চলে খুব সাধারণ উপায়ে পালন করা যায়। বাড়ির চালের অতিরিক্ত অংশটি যদি কাঠের বা বাঁশের বাড়ি বা নীড়ের মতো তৈরি হয় তবে কবুতর এখানে এসে বাসা বাধে, এবং বংশবৃদ্ধি  করে। এতে ব্যয় খুব বেশি  হয় না। অনেক পরিবার এভাবে কবুতর পলন করে তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে, তেমনি তারা নিয়মিত কবুতর বাচ্চাদের অন্যান্য উপায়ে বিক্রি করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। বাণিজ্যিক কবুতর পালনেরও ব্যয় সীমিত। তাদের বেশিরভাগ বাড়ি কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি। সর্বোপরি, এর জন্য খুব অল্প জায়গা দরকার।
kobutor palon
  • ডিম ফটানোর হারঃ

কবুতরের ক্ষেত্রে  ডিম ফটানোর হার  হার ৯৮%, যা মুরগির ক্ষেত্রে প্রায় ৭০-৭৫%। তাদের ডিম ফুটাতে তাদের ইনকিউবেটার বা অন্য কোনও ব্যয়বহুল সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না।
  • প্রজন্ম বিরতিঃ

তারা অল্প বয়সেই পুনরুত্পাদন শুরু করে। সুতরাং কবুতর পালনকারি স্বল্প সময়ের মধ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। একটি কবুতর সাধারণত প্রতি বছর ১০-১২ জোড়া বাচ্ছা দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে ১৬-১৮ দিন সময় লাগে।
বিঃদ্রঃ আজকে এই পর্যন্তই আমাদের ব্লকের সাথে থাকুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা শুধু কবুতর নিয়ে কথা বলি। কবুতর নিয়ে যা জানার, সব এখান থেকে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Back to top button