Pigeons Disease
[কবুতর পালন] কবুতরের রোগের নাম লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ১ম পর্ব।
কবুতরের রোগের নাম লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ১ম পর্ব।
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে kobutor.net তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে kobutor.net তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই kobutor.net এর সাথেই থাকুন ।
মানুষের শরিলে যেমন নানা প্রকার রোগ হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি কবুতরের শরিলে ও নানা রকমের রোগ হয়ে থাকে। সঠিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা না করা হলে কবুতরের প্রাণহানি হতে পারে।
এই পর্বে আমরা কবুতরের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানবো।
রোগের নামঃ সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস
লক্ষনঃ শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো, ফেনা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া দেখা দেয়। দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যায়। ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত পরিলক্ষিত হয়।
চিকিৎসাঃ এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে
পতিরোধঃ ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
রোগের নামঃ করাইজা অথবা আউল’স হেড
লক্ষনঃ সর্দি, চোখের পাতাদ্বয় ফুলে প্যাঁচার মাথার ন্যায় দেখায়, অক্ষিঝিলি্ল প্রদাহের ফলে চোখ দিয়ে (muco-purulent) পদার্থ নির্গত হয়।
চিকিৎসাঃ এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।
পতিরোধঃ ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
রোগের নামঃ মাইকোপ্লাজমোসিস
লক্ষনঃ সর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে প্রথমে পানি এবং পরে muco-purulent পদার্থ নির্গত হয়। মুখ ও কন্ঠ অত্যধিক প্রদাহে স্ফীত থাকে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। শ্বাসকষ্ট হয়।
চিকিৎসাঃ টিয়ামুলিন, টাইলোসিন এনরোফ্লুক্সসিন, স্পাইরামাইসিন, লিনকোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ
পতিরোধঃ ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
নামঃ ক্ল্যামাইডিওসিস অথবা অরনিথোসিস
লক্ষনঃ চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে, স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং রোগ ভোগের পর মরা যায়
চিকিৎসাঃ ক্লোরটেট্রাসাইক্লিন, টাইলোসিন, লিনকোমাইসিন, স্পাইরামাইসিন ইত্যাদি
পতিরোধঃ ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
নামঃ নিউক্যাসল অথবা প্যারামিক্সো ভাইরাস-১
লক্ষনঃ সবুজ রংয়ের ডায়রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মুখ হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা, পাখা ও পায়ের পক্ষাঘাত ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ইমিউনো স্টিমুলেটর
পতিরোধঃ ১। জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
নামঃ ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)
লক্ষনঃ পালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়
চিকিৎসাঃএন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন
পতিরোধঃ জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
নামঃ পরজীবী রোগ
লক্ষনঃ দুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও অবশেষে মৃত্যু ঘটে।
চিকিৎসাঃকৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, এমাইনো এসিড।
পতিরোধঃ জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
বিঃদ্রঃ আজকে এই পর্যন্তই আমাদের ব্লকের সাথে থাকুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা শুধু কবুতর নিয়েই আমাদের এই সাইট। কবুতর নিয়ে যা জানার, সব এখান থেকে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ
আমাদের আরো কিছু পোস্টঃঃ