Pigeons Observance

[pigeons] কবুতরেরর সংখিপ্ত মাসিক কোর্স। Pigeon short monthly course.

কবুতরেরর সংখিপ্ত মাসিক কোর্স। Pigeon short monthly course.

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে kobutor.net তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে kobutor.net তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই kobutor.net এর সাথেই থাকুন ।


কবুতরের সংখিপ্ত মাসিক কোর্স

১) সাল্মনেল্লা কোর্স করান ৪-৫ দিন।
২) বি কমপ্লেক্স দিয়া ৫ দিন।
৩) ক্যালসিয়াম দিয়া ৪-৫ দিন।
৪) লিভার টনিক দিয়া ৪-৫ দিন।
৫) মাল্টি ভিটামিন দিয়া ৪-৫ দিন।

(১) মাসের ০১ থেকে ০৫ তারিখ।

>সাল্মনেল্লা কোর্স- ২ টেবিল চামচ
শাফি+ ২ টেবিল চামচ ফেবনিল
+মারবেলাস ১ চামচ=১ লিটার পানিতে।

(২) মাসের ০৭ থেকে ১২ তারিখ।

>ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হিসাবে (toxynil,
biovit, Rena B+C) — ১ সিসি/গ্রাম= ১
লিটার পানিতে।

(৩) মাসের ১৪ থেকে ১৮ তারিখ।

>ক্যালসিয়াম ও ই ভিটামিনের জন্য
(Calcium Forte or Calfast etc ) — ১
সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে।

(৪) মাসের ২৩ থেকে ২৭ তারিখ।

>হামদারদ এর লিভার টনিক Cinkara, Icturn,
Karmina ইত্যাদি — ১-২ চামচ ১ লিটার
পানিতে।

(৫) মাসের ২৮ থেকর ৩০ তারিখ।

>মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। এক্ষেত্রে All
Vit Ma(Made in Germany)।
বিঃ দ্রঃ= মাঝে যে তারিখ গুলো নেই
ঔ দিন গুলোতে কবুতরকে শুধু পানি
দিবেন।

ক) কবুতর (pigeons) কে সপ্তাহে/১৫ দিনে/

মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য
উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ
জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে
বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে
থাকে।

খ) আমি একটি খাদ্য তালিকা দিয়েছিলাম

সেখানে কাল জিরার আন্তভুক্ত ছিল।
আপনি যদি মাঝে মাঝে কালজিরা+মেথি
+মউরি+জাউন এই উপাদানের মিক্স করে
(৪০%+৩০%+১৫%+১৫%) খেতে
দেন আপনার কবুতর কে তাহলে
দেখবেন আপনার খামারে অনেক
অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত
থাকবে।
গ) কবুতরের (pigeon) জন্য মধু/রসুন/লেবুর রস, কাঁচা
হলুদ, অ্যাঁলভিরা এগুলো আপনার কবুতর
কে সজিব রাখতে সাহায্য করবে।
ঘ) কবুতরের (pigeon) খামারে রোগ
প্রতিরোধের সবচেয়ে অন্যতম
উপাদান হল, খাদ্য পরিস্কার বা নিয়মিত
ফাঙ্গাস মুক্ত বা স্যাঁতসেঁতে মুক্ত রাখা।
খাবারে ফাঙ্গাস সব ঋতুতেই কমবেশি
পরে এই আপনি যদি আপনার খাবারের এই
ফাঙ্গাস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বা
খাবার পরিস্কার এর ব্যাপারে খেয়াল
রাখেন তাহলে আশা করা যায় যে
আপনার খামার ৮০% রোগ মুক্ত থাকবে
কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াই।
আর এই লক্ষে আপনাকে খাবার
রোদে দিতে হবে মাঝে মাঝে বা
আগুনে হালকা গরম করে নিতে
পারেন।
ঙ) কবুতরের (pigeon) জন্য ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে অসুস্থ ও বাচ্চা
যেগুলোর আছে সেগুলো কে
বাদে বা যেগুলো ১-২ দিনের
মধ্যে ডিম দিতে পারে এমন বা যে
সমস্থ কবুতরের ৭ দিনের মধ্যে বাচ্চা
ফুটবে বা অসুস্থ থেকে কেবল ভাল
হয়েছে এমন কবুতর কে অনুগ্রহ
করে দিবেন না।

কবুতর (pigeon) খামার কে নিরাপদ রাখতে আপনার করনিয়ঃ

১. বাতাস ও বৃস্টির ছাট থেকে
কবুতরকে নিরাপদ রাখুন।
২. কবুতরের খাচা পরিস্কার ও শুকনো
রাখুন।
৩. কবুতরের খাচায় এক টুকরো কাঠ
রাখুন যাতে কবুতর জোড়া দাড়াতে
পারে।
৪. জীবানু বিরোধী ঔষধের
বদলে, শুকনো বরিক পাউডার ছিটিয়ে
দিন।
৫. সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ট্রে
পরিস্কার করুন।
৬. দেড়/দুই মাস পর পর কৃমির ঔষধ
প্রয়োগ কনুন।
৭. সপ্তাহে এক দিন রসুন বাটা দিন পানির
সাথে মিক্সড করে।
৮. সপ্তাহে এক দিন সবুজ চা দিন আদা ও
মধু মিক্সড করে।
৯. বেশি লোকের পরামর্শ নিবেন
না।
যদি আপনি এ ব্যাপার গুলি ঠিক মত পালন
করতে পারেন, তা হলে কবুতরের
অনেক প্রকার রোগ থেকে ১০০%
নিরাপদ থাকবেন
ইনশাআল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button