Pigeons Disease
[কবুতর রোগ] কবুতরের বায়ুপূর্ণ খাদয়থলিঃ চিকিৎসা ও প্রতিরোধঃ
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । kobutor.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
বায়ুপূর্ণ খাদয়থলিঃ চিকিৎসা ও প্রতিরোধঃ
যদি অল্প বাতাস হয় তাহলে কবুতরটা নিচের দিগে ঝুলিয়ে রেখে পেটে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে মুখ দিয়ে বাতাস বের করে ফেলবেন আর যদি বেশি হয় তাহলে
নিচের নিয়ম অনুসরন করুন
১) এই রোগে প্রাথমিক চিকিৎসা আগে দিতে হয় আর এই পর্যায়ে একটি সূচ এর অগ্রভাগ দিয়ে কর্প এর দুইটি জায়গা অল্প ফুটা করে দিয়ে হালকা চাপ প্রয়োগ করে বাতাস বের করার ব্যাবস্থা করে দিতে হবে। এটি কিছুখনের মদ্ধের আবার বাতাস পূর্ণ হয়ে যায় তাই কয়েকবার এই কাজটি করতে হতে পারে।
২) বাতাস বের করার পর কুসুম গরম রাইস স্যালাইন খাওয়াতে পারেন বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ২-৩ ফোঁটা ১-২ সিসি পানিতে দিয়ে অল্প পরিমান খাওয়াতে পারেন। বেশী ছোট বাচ্চা হলে ফোঁটা ফোঁটা করে আর বড় হলে ৩-৪ সিসি পর্যন্ত দিতে পারেন।
৩) কর্প এর ফুটা করা অংশ তেপ বা লিউকোপ্লাস দিয়ে এটে দিতে পারেন বা অ্যান্টিসেপটিক লাগাতে পারেন। কবুতরকে উষ্ণ জায়গাতে রাখবেন ও উষ্ণ রাখার চেষ্টা করবেন। কারন এই অবস্থা তাদের শরীর আসতে আসতে ঠাণ্ডা হয়ে আসতে থাকে।
৪) মানুষের ঔষধ (Milk of Magnesia) ৫-৬ ফোঁটা করে দিবেন ১ নং কাজটি করার পরে। এর ১৫ মিনিট পর Orasin K suspension তৈরি করে ১ মিলি ও বেশী ছোট বাচ্চা হলে ১-৫ ফোঁটা করে খাওয়াবেন দিনে ৩ বার ৩ দিন।
৫) পেটে যদি খাবার জমে থাকে আর এই অবস্থা হয় তাহলে আগে ১০ মিলি/সিসি কুসুম গরম পানিতে ১ মিলি/সিসি অ্যাপেল সিডার মিক্স করে খাওয়াবেন এর পর একটু মর্দন করে কবুতর কে উল্টা করে কর্প এ হালকা চাপ দিয়ে পানিসহ খাবার গুলো বের করে দিবেন। তানাহলে খাবার পচে আরও বিপত্তি ঘটতে পারে। এর পড় ৫ মিলি/সিসি রাইস স্যলাইন খাওয়াবেন এরপর ৪ নং পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে পারেন। এই পদ্ধতি কেবল বড় কবুতরের জন্য প্রযোজ্য কারন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবার জমে থাকার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।
৬) প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভাল মানের পরিষ্কার খাবার দিবেন হালকা গরম করে। ভাল মানের গ্রিট দিবেন। ১৫ দিন পড় পড় অ্যাপেল সিডার দিবেন ১ মিলি/সিসি করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে নরমাল খাবার পানি হিসাবে। খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। জীবাণু নাশক স্প্রে করবেন নিয়মিত। বি কমপ্লেক্স দিবেন নিয়মিত।
সতর্কতাঃ
১) খেয়াল রাখতে হবে অনেকেই বেশী চাপ প্রয়োগ করে মুখ দিয়ে বাতাস বের করার চেষ্টা করেন। এটি খুবই মারাত্মক কারন এতে বায়ু কোষ বিস্ফোরিত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।
২) অনর্থক শক্ত খাবার দিবার চেষ্টা করবেন না দিন কয় কুসুম গরম তরল খাবার দিবেন বা রাইস স্যালাইন দিবেন।
৩) সূচ দিয়ে ফুটা করার সময় বেশী জ্বরে বা গভিরে সূচ ফুটাবেন এতে রক্ত বের হয়ে বিপত্তি ঘটে পারে।
৪) বয়স্ক কবুতর গরম/হিটে আসলে বা পউটার ধরনের কবুতর এমনিতেই কর্প এর মধ্যে বাতাস পূর্ণ রাখে সেটাকে রোগ হিসাবে ধরা ঠিক হবে না।
বিঃদ্রঃ আজকে এই পর্যন্তই আমাদের ব্লকের সাথে থাকুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা শুধু কবুতর নিয়েই আমাদের এই সাইট। কবুতর নিয়ে যা জানার, সব এখান থেকে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ