[কবুতর পালন] কবুতর ও পাাাখিরখ ডেপথিরিয়াঃ(Diphtheria)।
ডেপথিরিয়াঃ(Diphtheria) |
কবুতর ও পাাাখিরখ ডেপথিরিয়াঃ(Diphtheria)
কারনঃ
সাধারণত নোংরা খাবার ও পানির পাত্র, বেড়াল ও ইঁদুর বা তেলেপোকার খাবারে মুখ দিলে বা কামড়ান বা এর লোম পেটে গেলে ইত্যাদি এই রোগ হতে পারে। ধুলো, পানি ও বায়ুর মাধমেও ছড়াতে পারে।
লক্ষণঃ
) এই রোগের প্রথম লক্ষণ হিসাবে দেহে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যায়।
) বিষ্ঠা হালকা সবুজ,বা সাদা বা সাধারন রং এর হতে পারে।
) নাক ও মুখ দিয়ে পানি পড়া ।
) শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
) পাখি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে।
) আংশিক পা বা পাখা পক্ষাঘাত।
) ধীরে ধীরে কাশি শুরু হয়(যদিও অনেকে এটা ঠাণ্ডা বলে ভুল করে থাকে।)
) মুখে ও জিব্বায় সাদা জিল্লির মত দেখা যায়, মাঝে মাঝে লম্বা সুতার মত মুখের ভিতর দেখা যায়, তাই অনেকে কৃমি বলে মনে করে থাকে। (অনেকে এটা কাংকার বলেও ভুল করে থাকে।)
) মুখে দুর্গন্ধ থাকে এবং পরে পানি ও অভুক্ত খাবার সহ দুর্গন্ধ যুক্ত বমি নাক মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।
) পেশী দুর্বলতা ও চোখ সংক্রমণ হয়।
) অনেক সময় গলা ফুলে টনসিল এর মত হয় কিন্তু তন্সিলের মত গতা বিচি মত হয় না।(অনেকে এটা টনসিল বলে ভুল করে থাকে।)
) খাবার গিলতে খুব কষ্ট হয় তাই খাবার মুখে নিয়ে ফেলে দেয়।
) পাখি লোম ফুলিয়ে এক জাগায় বসে থাকে।
) অনেক সময় কাশির সাথে রক্তু পড়তে পারে।
) শেষ পর্যায়ে ঘাড় শক্ত হয়ে যায় ও প্রচণ্ড কাশি ও সর্দির লক্ষণ দেখা যায়।
) মুখের সাদা পর্দা দেখা যায় এবং এটা তুললে কাচা ঘা দেখা যায়।
) এই রোগের পরবত্তি পর্যায়ে কাশির প্রভাব বেড়ে যায় তাই অনেকে দেখে ঘুংরি কাশি বলেও ভুল করে থাকে ও সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করে থাকে যা পাখির জন্য প্রানহানিকর হয়।
প্রতিরোধঃ
) নিয়মিত খাবার ও পানির পাত্র ডেটল পানি দিয়ে ধুতে হবে।
) খামার পুরিস্কার রাখতে হবে।
) পোকামাকড়,ইঁদুর ও বিড়াল কে আটকাতে হবে যাতে খামারে প্রবেশ না করে।
) বাইরের স্যান্ডেল পরিহার করতে হবে।
) নিয়মিত জীবাণু মুক্ত স্প্রে বা চুন অথবা বরিক পাওডার ছিটাতে হবে।
) টিনের খাবার পাত্র জং ধরে গেলে বাদ দিতে হবে।
চিকিৎসাঃ
) ডিপথিরিনাম ২০০ হোমিও দিনে ২/৩ বার ব্যাবহার করতে হবে অল্প একটু গরম পানির সাথে।
) ঠাণ্ডা পানি দেওয়া যাবে না।
) Orasin K ১ সিসি করে দিনে ৩ বার দিতে হবে ১ গ্রাম স্যালাইন পানির সাথে।
) নিয়মিত বারলি,সাগু বা আটা গুলিয়ে ৫ সিসি করে দিনে ৩ বার দিতে হবে।(তবে ঔষধ দিবে পরে এবং হালকা গরম পানির সাথে।
) রোগ ভাল হবার পরও নিয়মিত স্যালাইনে, ভিটামিন দিতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে এই রোগ গ্রীষ্ম ও বর্ষা বেশি দেখা, তবে যদি নিয়মিত প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গরে তলা যায় তাহলেই ভাল, কারন রোগ নির্ণয় ও পরবত্তি চিকিৎসা ও যত্ন অনেকেই হয়তো ঠিকমত নাও করতে পারেন। ফলস্বরূপ আপনার কবুতরের অনাখাঙ্কিত মৃত্যু।