কে হয়ত ভুরূ কুচকে ভাবতে পারেন, দাড়ি ওয়ালা লোক তাও আবার এমন খুঁতখুঁতে? কিন্তু যাই বলেন আমি অনেক চেষ্টা করেও বদলাতে পারিনি। এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। জানিনা এটা আমার ভাল না খারাপ অভ্যাস। আমার মত অনেকেরই হয়তো এই অভ্যাস আছে। আর এটা থাকা উচিতও। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন জিনিষ টা অপ্রাসঙ্গিক, হতে পারে। কিন্তু আমাদের জীবনের সাথে যদি প্রাণীদের জীবনের তুলনা করি,তাহলে বুঝবেন যে, এটি মোটেয় অপ্রাসঙ্গিক না। একটা প্রাণী হোক সেটা বেড়াল প্রজাতি বা পাখির শ্রেণীর সবক্ষেত্রেই কোন না কোন ভাবে মিল আছে। প্রাণীরা তাদের বাসস্থান,পাত্র ইত্যাদি তাদের বিষ্ঠা,পেসাব ইত্যাদি দিয়ে মারকিং এর মত করে রাখে। আর এতে তারা সাছন্দ বোধ করে। যেমন আপনি যদি কোন পাখি বা কবুতর কে তার খাঁচা থেকে অন্য খাচায় নেন,তাহলে খেয়াল করবেন যে কেমন যেন একটু ভয় পাচ্ছে,কিন্তু আবার তার খাচায় ফিরেয়ে দেন…দেখবেন… ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় আপনি যদি,তার পরাতন খাবার পাত্র বাদ দিয়ে নতুন পাত্র দেন বা পাত্রটা ভাল করে ধুয়ে দনে, তাহলে দেখবেন যে, সহজে খাচ্ছে না। এটা হল সহজাত প্রাণীদের ক্ষেত্রে। প্রাণীরা তাদের খুশি বা দুঃখ সাধারণত তারা, পায়খানা ও পেসাবের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। এজন্য যখন আপনি আপনার পাখি বা কবুতর কে খাঁচা থেকে বের করে বাইরে ছাড়লে লক্ষ্য করে দেখবেন যে তারা পাখা ঝাপটা দিচ্ছে ও ঘনঘন পেসাব পায়খানা করছে( বলে রাখা ভাল পাখি বা কবুতরের আলাদা কোন মুত্রথলে নাই,তারা তাদের পায়খানার সাথে প্রস্রাব করে।) যাহোক, এখন আসি আসল কথাই। আমরা অধিকাংশ খামারিরাই তাদের পাখির খাবার ও পানির পাত্র বেছে রাখি না। কিন্তু করা ঠিক না। অবশ্যয় খাবার ও পানির পাত্র না খাঁচা অনুযায়ী নম্বর লিখে রাখা ভাল। এটা কি হবে, এর সবচে উপকার দিক হল যে, আপনি যে পাত্র আজ যে পাখি বা কবুতর কে দিলেন, সেটি যদি কোন রোগে আক্রান্ত থাকে, যেমনঃকাঙ্কার, ডিপথিরিয়া, pmv,pmv1(রানিখেত) ইত্যাদি । পরদিন অন্য আরেকটি কে সেই পাত্র দিলে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনার কাজ হলঃ
) প্রতিটা খাঁচা,পানি ও খাবার পাত্রে নম্বর লিখে রাখুন। যাতে পানি ও খাবার দেওয়ার সময় ভুল না হয়।
) খাবার ও পানির পাত্র রাতে উলটিয়ে রাখুন। তাতে ইঁদুর ও তেলেপোকার অনর্থক আক্রমন থেকে নিরাপদ থাকবে।
) পানির পাত্র ১ দিন পর পর সাধারন ভাবে ও ৩/৪ দিন পর পর বিশেষ ভাবে ধুয়ার ব্যাবস্থা করুন।
) প্রতিদিনের অবশিষ্ট খাবার যদি পুনব্যবহার করতে চান তাহলে, তা আলাদাভাবে রাখুন এবং যখন বেশি হবে তখন ভালমত বেছে হালকা গরম করুন বা রোদে ভালমত শুকিয়ে নিন।
) যেকোনো খাবার ১৫ দিনের বেশি সংরক্ষণ করবেন না, যদি করেন তাহলে একই নিয়মে গরম করুন বা রোদে ভালমত শুকিয়ে নিন।
) মাঝে মাঝে চাল বা খুদ ভাজা দিন ।
) অনর্থক পাখি বা কবুতর ধরবেন না।
) আপনার খামার সব সময়ে শুকনো রাখার চেষ্টা করবেন,কারন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অনেক রোগের জন্ম দেয়।
) ঔষধ বা ভিটামিনের মুখি ভাল মত বন্ধ করবেন আর পারলে রঙ্গিন বৈয়াম এ রাখার চেষ্টা করবেন।
অনেক ঔষধের গায়ে লেখা থাকে বিশেষ করে অ্যান্টিবায়টিক এ যে,প্রতিরধে এই নিয়ম আর প্রতিকারে আরেক নিয়মে দিতে বলা হয়, আর অনেকেই সেই নিয়ম অনুসরন করে অসুস্থ কবুতরের সঙ্গে সুস্থ গুলোকেও এই অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করেন, কিন্তু মনে রাখবেন অনর্থক ঔষধ প্রয়োগের খারাপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যদি জানতেন তাহলে এই কাজ টি করতেন না। ঔষধ এর কোর্স সমাপ্ত করুন। আর এর উন্নতি খেয়াল করুন। তার আগে কোন সিধান্তে উপনীত হবেন না। এক অ্যান্টিবায়টিক থেকে আরেক অ্যান্টিবায়টিক দিবার আগে আগের ঔষধের ক্রিয়া নষ্ট করুন। আর সর্বোপরি সকল ব্যাপারে একটু একটু সতর্ক হন।