Pigeons Disease

[কবুতর রোগ] কবুতরের মলদ্বারয় গোটা ও টাল কবুতরের সমস্যার সমাধা।

আসসালামু আলাইকুম।

কবুতরের মলদ্বারয় গোটা
কবুতরের মলদ্বারয় গোটা



কবুতরের সাধারণ সমস্যা-১

কবুতর পালকদের একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে বাচ্চার ঠোঁটে, চোখের পাপরির সাইডে, মলদ্বারয় গোটা হওয়া এবং ধিরে ধিরে এই গোটার কারনে মলদ্বারা আটকে গিয়ে মারা যাওয়া। ঠোঁটে ঘা টা ধিরে ধিরে বড় হয়ে পুরোটা ঠোটে ছরিয়ে পরে মারা যাওয়া বা ঠোট পরে যাওয়া।
মশার কামর & লফট অপরিস্কার জনিত কারনে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারনে এই সমস্যা দেখা দেয়। 
আজ এই সমস্যার সমাধান নিয়ে একটু আলোচনা করবো। 
১/ প্রথমত লফট পরিস্কার রাখতে হবে যাতে ময়লা না হয়।
২/ বাচ্চা ফুটার পর থেকে কাচ্চার হারি বা খোড়া নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। 
৩/ লফটে মশা যাতে কম হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। 
যদি গোটা হয়েই যায় তাহলে প্রাথমিক ভাবে গোটা টা ছোট থাকতেই খুটে পয়জন হলে সেটা পরিস্কার করে পটাশ / কেরোসিন তেল লাগিয়ে দিন ( আমি কেরোসিন তেল ব্যবহার করি)। ২/৩ দিন পরে গোটা টা একটা ঘা তে পরিনত হবে সামান্য পয়জন হতেও পারে নাও হতে পারে। এই ঘা টা পুনরায় খুটে আবার কেরোসিন তেল বা পটাশ লাগিয়ে দিন। এভাবে ৩-৪ বার করলে আল্লাহ চাইলে আপনার কবুতরের বাচ্চার এই সমস্যা টা থেকে সমাধান হবে। 
বিঃদ্রঃ আমি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ১০০% সফল তাই সেয়ার করলাম।
টাল কবুতরের সমস্যার সমাধা।
টাল কবুতরের সমস্যার সমাধা।
 
কবুতরের সাধারণ সমস্যা-২
টাল কবুতরের একটা সাধারন চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবো। 

টাল  বলতে ঘার বাকা হয়ে যাওয়া, গলা কাপানো, ঘার ঘুরাতে গিয়ে উল্টে যাওয়া, ইত্যাদি বুঝে থাকি। টাল রোগ হলে অনেকেই আক্রান্ত কবুতরটা জবাই করে ফেলে অথবা লফট থেকে সরিয়ে আলাদা ভাবে অবহেলায় রাখে।
টাল রোগটা সাধারনত ভিটামিন বি এর অভাবে হয়ে থাকে। টাল রোগের নানা ধরনের চিকিৎসা আছে। তবে আমি ১ টা চিকিৎসা করে ১০০% সফলভাবে সুস্থ করেছি আমার লফটের কিছু কবুতর। আজ আমার চিকিৎসা টা বর্নান করলাম। 
১/ প্রথমত কবুতর টা লফট থেকে আলাদা করে আলাদা একটা খাচায় রাখতে হবে।
২/ আলাদা খাচাটা এমন একটা স্থানে রেখেছি যেখানে আলো বাতাস সব সময় থাকে এবং দিনের বেসিরভাগ সময় সুর্যের আলো সরাসরি কবুতরের গায়ে পরে। 
৩/ এই রোগ হলে কবুতর ঘার ঘুরে পল্টি মেরে পরে যায় আর সরিল দুর্বল হয়ে যায় যেকারনে পাখ ঝুলে থাকে। এজন্যে সরিলের ওজন কমানের জন্যে লেজ গুলো ৩ ভাগের ২ ভাগ কেটে দিতে হবে। 
৪/ ২ দিন পড় পড় গোসল করাতে হবে। 
৫/ ভিটামিন বি জনিত মেডিসিন দিতে হবে, ১ দিন পর পর থায়াবিন ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম করে দিতে হবে। এবং প্রতিদিন  ১ টা করে বিওভিট দিতে হবে। 
৬/ খাবার না খাইলে বা কম খাইলে ছোলা বুট ভিজিয়ে খাওয়াতে হবে। 
যদিও চিকিৎসা টা দির্ঘমেয়াদী তবে আশাকরি কাজ হবে। 
বিঃদ্রঃ ছবিতে দেওয়া কবুতরটা এই চিকিৎসা করে আমি সুস্থ করেছি। চিকিৎসাটা সম্পুর্ন আমার ধারনা থেকে করা। আমি ভালো উপকার পেয়েছি তাই সেয়ার করলাম। কারো ভালো না লাগলে ইগনর করুন।
সমস্যা টা হচ্ছে কবুতরের চোখে পানি আসা + ঠান্ডায় নিশ্বাস নেওয়াএ সময় ক্ষাক ক্ষাক সব্দ করা + কাশি দেওয়া।
কবুতরের ঔষধ  
কবুতরের সাধারণ সমস্যা-৩
কবুতরের আর একটি কমন সমস্যার সমাধান নিয়ে বলবো।  

সমস্যা টা হচ্ছে কবুতরের চোখে পানি আসা + ঠান্ডায় নিশ্বাস নেওয়াএ সময় ক্ষাক ক্ষাক সব্দ করা + কাশি দেওয়া।  
এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে লিভোব্যাক হিউম্যান ট্যাবলেট ৮ টুকরা করে সকাল বিকাল ২-৩ দিন খাওয়াবেন। ইনসাআল্লাহ আপনার আক্রান্ত কবুতর টি সুস্থ হয়ে যাবে। লিভোব্যাক ট্যাবলেট  আপনার হাতের নাগালে সকল ফার্মেসীতে পাবেন। ১৫ টাকা পিছ নিবে। 
আমি এই চিকিৎসা করে ১০০% সফলতা পেয়েছি তাই আপনাদের মাঝে সেয়ার করলাম।
 
আরো জটিল সমস্যার সমাধান পেতে ব্লকটি ফলো দিয়ে একটিভ থাকুন। 
আমাদের আরো কিছু পোস্টঃ

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button