[কবুতর পালন] বিভিন্নরকম ফেন্সি কবুতরের জাত। ১৪টি সুন্দর কবুতরের জাত। 14 beautiful pigeons

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে kobutor.net তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে kobutor.net তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই kobutor.net এর সাথেই থাকুন ।

আজকে আমার কথা বলবো বিভিন্ন ফেন্সি কবুতরের জাত নিয়ে    

তাহলে চলেন শুরু করার যাক।  

1. হাইফ্লায়ার কবুতর

এই কবুতরগুলো সাধারণত 1 বছরে 12 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। বাজারে এ কবুতরের মূল্য 1 হাজার টাকা হতে পারে, এবং বাচ্চা কবুতরগুলোর মূল্য 500 টাকা।

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এদের ঠোঁট অনেকটা ছোট, 
2. এতে শরীরটা অনেকটা ছোট 
3. চোখগুলো ডার্ক নাইট কাল
4. শরীরটা সম্পূর্ণ সাদা

২. ঝরনা সাটিন কবুতরজ

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এই কবুতরের শরীরটি ঝর্ণার মত দেখতে
2. শরীরের কালারটা সাদাকালো মিলিত
3. এই কবুতরের লেজ ও সাদা ও কালো মিশ্রিত 
4. মাথার চাইতে ঠোঁটটা অনেকটাই ছোট। 
5. ও চোখগুলো অনেক বড়
6. মাথায় ঝুটি বাধা থাকে এবং গলার নিচের অংশে কুঁচকানো ফুলা দেখা যায়।

এই কবুতরের দাম হলো 3000 টাকা এবং বাচ্চা কবুতর গুলোর দাম হল 2500 টাকা।

3. লাল গিরিবাজ

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এই কবুতরটা সাধারণত গিরিবাজের মতই। কিন্তু ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায় 
2. এদের চোখের ভিতর লাল রিং এবং ভিতরে সাদা পাথরের মত দেখা যায়।
3. এদের শরীরটা দেখতে ফ্রেশ লাভ এবং ঠোটগুলো ছোট। 
4. এরা সাধারণত অনেক বাজি মারে।
5. এই কবুতর সাধারণত বছরে আর জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এদের বাজার মূল্য 1500 টাকা এবং বাচ্চা কবুতরের বাজার মূল্য 1000 টাকা।

4. লাক্ষা কবুতর কবুতর

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

সাধারণত এদের হোয়াইট লক্ষা কবুতর বলা হয়।

এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ

1. লাক্ষা কবুতরের লেজটি ফুলের মত ছড়িয়ে থাকে। 
2. এবং মাথায় একটি ঝুটি থাকে।
3. এ কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া ডিম দিতে পারে। 
4. ময়ূরের মতো লেজটা ছড়িয়ে রাখে বলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। 
5. লক্ষা কবুতর বেশি উড়তে পারে না। 

এই কবুতর একজোড়া দাম 1500 টাকা এবং বাচ্চা এক জোড়ার দাম 100 টাকা

5. সোয়া চন্দন কবুতর

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এ কবুতরের গায়ের রং অর্ধেক কালো এবং অর্ধেক গিয়ে কালার হয়ে থাকে।
2. সুয়াচন্দন কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এ কবুতরের দাম একজোড়া 1000 থেকে 1500 টাকা এবং বাচ্চা কবুতরের দাম 500 থেকে 1000 টাকা

6. ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এ কবুতরে দেখা যায় ঠোট অনেক ছোট। 
2. চোখের উপরের পাতা টা অনেক বড় হয়ে থাকে। 
3. এবং সব থেকে ভালো ভাবে চেনা যায় এদের মাথার জুটিটা অনেকটা ছড়ানো। 
4. এই কবুতর গুলা সাইজে অনেক বড় হয়ে থাকে। 
5. ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে পারে।

এই কবুতরের বাজার দাম 4000 টাকা এবং বাচ্চা এক জোড়া কবুতরের দাম 2500 থেকে 3000 টাকা।

7. ঘিয়া চন্দন কবুতর

এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের গায়ের রং পুরো বাদামি কালার। সাধারণত গিয়া চন্দন কবুতর দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

1. গোল মাথা হয় এবং 
2. ঝুটিওয়ালা মাথা হয়। 

এই কবুতরের দাম জোরা ১০০০ টাকা 

8. ঢাকায় গিরিবাজ কবুতর 

মূলত এই কবুতরকে বাংলাদেশী জাত বলা হয়।

কবুতর চেনার উপায় হলো 

1. গলা থেকে মাথা পর্যন্ত জিরা জিরা কাল কালার বা পোড়া পোড়া কালার দেখা যায়। 
2. এবং বাকি শরীরটা সাদা কালার হয়ে থাকে। 
3. বছরে 10 জোড়া কবুতরের বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এক জোড়া ঢাকাইয়া গিরিবাজ দাম 800 টাকা 

9. লোটন কবুতর

এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃ

1. মুখের উপর ফু দিয়ে নিচে ঘুরালে অনেকক্ষণ ঘুরতে পারে। 
2. এরা আকাশে অনেক ভালো দিগবাজি দিতে পারে। 
3. মাথার উপর জুটি থাকে।

এই  কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা এবং এক জোড়া বাচ্চার মূল্য 1000 টাকা।

10. মুক্ষি কবুতর

এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃ

1. এদের পুরো শরীল কালো 
2. এবং মাথায় হালকা সাদা থাকে। 
3. মুক্ষি কবুতর সাধারণত ঘারটা খুব নাড়ায়। 
4. এবং গলার গিলাটা উপরের দিকে উঠে থাকে।

এই কবুতরের এক জোড়া দাম পনেরশো টাকা এক জোড়া বাচ্চার দাম 1,000 টাকা

11. ডাবুক কবুতর

এতে চেনার উপায় হচ্ছে 

এরা সাধারণত মুক্ষি কবুতরের মতোই দেখতে।

কিন্তু মুক্ষি কবুতর মত দেখতে হলেও এরা মুক্ষি কবুতরের মতো ঘাড় কাঁপে না।

এ কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা

12. রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর

1. রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর বছরে 10 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। 
2. এই কবুতর আকাশে অনেক বাজি মারে।

এই কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা।

 13. সিলভার সিরাজী কবুতর

এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃঃ

1. এরা আকারে অনেক বড় হয় 
2. শরীরের রং সিলভার কালার হয়

সিলভার সিরাজী কবুতর এক জোড়া দাম 3000 টাকা এবং এক জোড়া বাচ্চা কবুতর দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় টাকা

14. জার্ক কবুতর

এই কবুতরের বৈশিষ্ট হচ্ছে 

1. শরীর এবং ঠোট দুটি আকারে ছোট।  
2. গায়ের রং কাল। 
3. চোখে হচ্ছে লাল রিং করা এবং ভিতর বাদামি কালার। 
4. আকাশে 5-6 টা বাজি দিতে পারে। 
5. এই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এদের বাজার মূল্য হল পনেরশো টাকা।

1. এদের ঠোঁট অনেকটা ছোট, 
2. এতে শরীরটা অনেকটা ছোট 
3. চোখগুলো ডার্ক নাইট কাল
4. শরীরটা সম্পূর্ণ সাদা

২. ঝরনা সাটিন কবুতরজ

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এই কবুতরের শরীরটি ঝর্ণার মত দেখতে
2. শরীরের কালারটা সাদাকালো মিলিত
3. এই কবুতরের লেজ ও সাদা ও কালো মিশ্রিত 
4. মাথার চাইতে ঠোঁটটা অনেকটাই ছোট। 
5. ও চোখগুলো অনেক বড়
6. মাথায় ঝুটি বাধা থাকে এবং গলার নিচের অংশে কুঁচকানো ফুলা দেখা যায়।

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এই কবুতরটা সাধারণত গিরিবাজের মতই। কিন্তু ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায় 
2. এদের চোখের ভিতর লাল রিং এবং ভিতরে সাদা পাথরের মত দেখা যায়।
3. এদের শরীরটা দেখতে ফ্রেশ লাভ এবং ঠোটগুলো ছোট। 
4. এরা সাধারণত অনেক বাজি মারে।
5. এই কবুতর সাধারণত বছরে আর জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. লাক্ষা কবুতরের লেজটি ফুলের মত ছড়িয়ে থাকে। 
2. এবং মাথায় একটি ঝুটি থাকে।
3. এ কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া ডিম দিতে পারে। 
4. ময়ূরের মতো লেজটা ছড়িয়ে রাখে বলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। 
5. লক্ষা কবুতর বেশি উড়তে পারে না। 

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এ কবুতরের গায়ের রং অর্ধেক কালো এবং অর্ধেক গিয়ে কালার হয়ে থাকে।
2. সুয়াচন্দন কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।

এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ

1. এ কবুতরে দেখা যায় ঠোট অনেক ছোট। 
2. চোখের উপরের পাতা টা অনেক বড় হয়ে থাকে। 
3. এবং সব থেকে ভালো ভাবে চেনা যায় এদের মাথার জুটিটা অনেকটা ছড়ানো। 
4. এই কবুতর গুলা সাইজে অনেক বড় হয়ে থাকে। 
5. ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে পারে।

1. গোল মাথা হয় এবং 
2. ঝুটিওয়ালা মাথা হয়। 

1. গলা থেকে মাথা পর্যন্ত জিরা জিরা কাল কালার বা পোড়া পোড়া কালার দেখা যায়। 
2. এবং বাকি শরীরটা সাদা কালার হয়ে থাকে। 
3. বছরে 10 জোড়া কবুতরের বাচ্চা দিতে সক্ষম।

1. মুখের উপর ফু দিয়ে নিচে ঘুরালে অনেকক্ষণ ঘুরতে পারে। 
2. এরা আকাশে অনেক ভালো দিগবাজি দিতে পারে। 
3. মাথার উপর জুটি থাকে।

1. এদের পুরো শরীল কালো 
2. এবং মাথায় হালকা সাদা থাকে। 
3. মুক্ষি কবুতর সাধারণত ঘারটা খুব নাড়ায়। 
4. এবং গলার গিলাটা উপরের দিকে উঠে থাকে।

1. রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর বছরে 10 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। 
2. এই কবুতর আকাশে অনেক বাজি মারে।

1. এরা আকারে অনেক বড় হয় 
2. শরীরের রং সিলভার কালার হয়

1. শরীর এবং ঠোট দুটি আকারে ছোট।  
2. গায়ের রং কাল। 
3. চোখে হচ্ছে লাল রিং করা এবং ভিতর বাদামি কালার। 
4. আকাশে 5-6 টা বাজি দিতে পারে। 
5. এই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।